তানভীর শাহরিয়ার রিমন - এর লেখা বইসমূহ

লাক্সারি ট্র্যাপ

ফেসবুকে যাদেরকে আমরা যুক্ত করি, বন্ধু বলি-তারা আসলে কতটা প্রকৃত বন্ধু? একজন ১৯/২০ বছর বয়সি তরুণী যখন মেসেঞ্জারে টেক্সট করে- বেবি, ইউ আর মাই ক্রাস! তখন পা পিছলে পড়ে যাব না কি দাঁড়িয়ে থাকব সে সিদ্ধান্ত কিন্তু আমাদেরকেই নিতে হবে। একজন তরুণী যখন লিখে, বেবি-ওয়ানা গো ফর অ্যা লং ড্রাইভ! তখন জানতে হবে, কোথায় থামতে হবে। এরকম অসংখ্য ফাঁদ, মোহ আমাদের আশেপাশেই আছে। আমাদের জীবনে-পরিবারে, কর্মক্ষেত্রে। ফাঁদে পা দিয়ে অতল গভীরে তলিয়ে যাবেন, নাকি জীবনের সমস্ত ট্র্যাপগুলো থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলার কৌশল শিখে তাৎপর্যময় জীবনের সন্ধান করবেন সিদ্ধান্ত আপনাদের। এই বইটি আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণকে সহজ করবে।

আমি একজন সেলসম্যান

বিশ শতকে বিক্রয়কর্মীদের ভিতর সবচেয়ে জনপ্রিয় স্কিল আইকিউ হলেও একুশ শতকে এখন সেটি অনেক বদলে গেছে। বর্তমানে কর্মীদের ভিতর ইমোশনাল ইন্টিলিজেন্স কে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। Google, Microsoft, Apple, Amazon মতো কোম্পানি গুলো তে জব করার প্রথম শর্ত উচ্চমানের Emotional Intelligence. কর্পোরেট জীবনে টিকে থাকতে হলে এখন আর আইকিউ দিয়ে টিকতে পারবেন না। প্রতিটি বিক্রয়কর্মীদের ভিতর অবশ্যই ইমোশনাল ইন্টিলিজেন্স থাকতে হবে। ইমোশনাল ইন্টিলিজেন্স থাকলে আপনি সহজে আপনার মাসিক বিক্রির টার্গেট পূরণ করতে পারবেন। আপনার ইমোশনাল ইন্টিলিজেন্স ব্যালেন্স এর পরিমাণ যত বেশি হবে অন্যদের উপর আপনার নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা আপনার তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া ইমোশনাল ইন্টিলিজেন্স আপনাকে আপনার অফিসের সবচেয়ে সুদর্শন, বিশ্বস্ত ও বেতনভুক্ত কর্মী, ভালো নেতা হতে সাহায্য করবে।

কর্পোরেট সংস্কৃতিতে যারা অভ্যস্থ, যারা সেলস পেশায় আছেন, যারা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান, অথবা শীর্ষ কর্মকর্তা এই বইয়ে তারা নিজেদের খুঁজে পাবেন। যারা নতুন, ক্যারিয়ার মাত্র শুরু করেছেন কিংবা চাকরি খুঁজছেন এই গল্প তাদেরও। এমনকি যারা তরুণ উদ্যেক্তা, টিম তৈরী করতে মুখিয়ে আছেন তারাও খুঁজে পাবেন ভিন্ন স্বাদ।

স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট

চাপে নেই এমন মানুষ আসলে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর । বিভিন্ন কর্পোরেট হাউসে বিক্রয় কর্মীদের নানারকম স্ট্রেস সামলাতে হয়, স্ট্রেস সামলাতে হয় বিভাগীয় প্রধান থেকে একজন সিইওকে । উদ্যোক্তাদের চাপের কোনো শেষ নেই । আবার যারা নতুন ক্যারিয়ার তৈরি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, কিন্তু ব্যাটে-বলে হচ্ছে না, তাদের চাপও কম নয় । ব্যক্তিজীবনে সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকেও অনেকে চাপে ভোগেন ।

এই বইয়ে আমরা নেগেটিভ চাপ কী করে দূর করব এবং পজিটিভ চাপের মাধ্যমে কী করে অনুপ্রাণিত হব সেই সব হ্যাকস নিয়ে কথা বলেছি । লিখেছি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় ব্যবস্থাপনার কৌশল নিয়ে। আর হ্যাঁ, লাইফস্টাইল, হেলদি লাইফস্টাইল, সেল্ফ কেয়ার কী করে আমাদের জীবনের নেগেটিভ চাপকে পজিটিভ চাপে রূপ দেবে সেইসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ।

এই বই যারা পড়বেন তার অন্তত ১০ শতাংশ পাঠক যদি হ্যাকস গুলো অনুসরণ করে উপকৃত হন, চাপ সামলানোর কৌশল রপ্ত করে সন্তুষ্ট জীবন খুঁজে পান, তবেই আমার লিখার স্বার্থকতা ।আমি জীবনে মূলত পারপাস পেছনে কাজ করি । এই বই সেই পারপাসের একটা অংশ ।