অফিস থেকে বের হবার প্রস্তুতি নিচ্ছি এমন সময় আমার ছেলে তেহজীবের ফোন
-বাবা, আজকে ইফতারিতে কেএফসি খেতে ইচ্ছে করছে !
-ঠিক আছে, বাবা আসার সময় নিয়ে আসব ।
যথারীতি বাসায় ফেরার পথে জিইসির নতুন কেএফসিতে গেলাম । সেখানে গিয়ে তো আমার চোখ ছানাবড়া !
রীতিমতো হাউসফুল । কাস্টমারদের অধিকাংশই বয়সে তরুণ । আমার ছেলের চেয়ে বয়সে ৭/৮ বছরের বড়ই হবে ওরা । কিছু মাঝ বয়সি লোকও দেখলাম । ও হ্যা ,ভালো কথা , আমার ছেলের বয়স গেল ফেব্রুয়ারিতে ১২ হলো ।
তো দেখলাম ছেলেমেয়ে গুলো ইফতারির সময়ের অপেক্ষা না করেই রীতিমতো ফ্রাইড চিকেনের উপর হামলে পড়েছে ! বিন্দাছ খাচ্ছে !
ঘড়িতে তখন ৫.১৫ বাজে । আমি আমার টেকওয়ে ওর্ডার প্লেস করতে করতে জানতে চাইলাম , রমজানে কী আপনারা রেস্টুরেন্ট এ খাবার পরিবেশন করেন ?
ওয়েটার হ্যা সূচক উত্তর দিলেন । সাথে যোগ করলেন,রমজানে মাশাল্লাহ সেল খুব ভালো । দুপুরে আজকে ৩৮ হাজার সেল হইছে । নরমালি এ সময়ে ৮/১০ হাজার হইতে কষ্ট হয় !
আমি হাসলাম । বললাম , কনগ্রেটস ! এবার নিশ্চয়ই মালিক পক্ষ ভালো ইনসেনটিভ দেবে !
দুনিয়ার এসব ইনসেনটিভ নিয়ে সবাই এতই ব্যস্ত যে খোদাভীতি বলে যে একটা কিছু আছে তা মানুষজন প্রায় ভুলেই গেছে ।
আমার ছেলে ৮ বছর বয়স থেকে সবকটি রোজা রাখছে ভীষণ সচেতনতায়, সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায় । রমজানে নিয়মিত কোরআন পড়ছে , পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ছে । আমার মেয়েটাও ৭ বছর বয়সে এ রমজানে একটি রোজা রেখেছে ।
আমি তাদের অনুপ্রাণিত করি । খোদাভীতি শিখাই ।
যখন এই ভীতিটা মানুষের উঠে যায় তখন সে শুধু রোজা ভাঙা নয় , তারচেয়ে বড় পাপ করতেও দ্বিধা করেনা ।